Sunday 11 April 2010

শেখ মুজিব স্বাধীনতা চেয়েছিলেন ?

বর্তমান সময়ের একটি আলোচনার বিষয় হল স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপারাধী। সকলের এখন একটাই প্রশ্ন, স্বাধীনতার বিরোধিতাকারি জামায়াত ইসলামি এই দেশে এখন রাজনীতি করার অধিকার চায় কেন? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে আমাদেরকে দেখতে হবে[su] স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মজিব কি চেয়েছিলেন?[/su]

১৯৬৯ সালের ১৪ই মার্চ শেখ মুজিব রাওয়াল পিন্ডি থেকে একটি গোল বৈঠক থেকে দেশে ফিরেন। সেখানে তিনি পান বিরোচিত সংবর্ধনা। বিমানবন্দরে তিনি ভাষন দেন। সেখানে তিনি বলেন, তাকে সমর্থন দিলে(রাজনৈতিক নেতাদের সমর্থন) তিনি আইয়ুব খানের কাছ থেকে এই দেশের জণ্য সায়ত্বশাসন দাবী করতেন। সেখানে তিনি মাওলানা ভাসাণীকে রাজণীতি থেকে অবসর গ্রহনের জন্য পরামর্শ দেন। (ক১)
শেখ মুজিবের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা জনাব রেহমান সোবহান ২৫ শে মার্চ বিকাল ৫ টায় তার সাথে দেখা করেন। সেখানে মুজিব তাকে বলেন যে পাকিস্তানের সেনাবাহীনির উপর অভিযানের নির্দেশ এসেছে। এই পর্যায়ে সোবহান সাহেব তাকে একটি সিদ্ধান্ত গ্রহনের অনুরোধ করেন। কিন্তু মুজিব জানান তিনি অপেক্ষা করছেন। সম্ভবত ইয়াহিয়া খান কোন আপোষ করার জণ্য ফোন করবেন। (ক২)

এই ব্যাপারে শেখ মুজিবের ঘনিষ্ট কামাল হোসেন বলেন:

" I waited for a telephone call throughout the fateful 25 march. The telephone call never came indeed when I finally took leave of Sheikh Muzib at about 10:30 pm on 25 th march, Sheikh Mujib asked me whether I had received such a call . I confirmed him that I had not " (খ১)

আসলে শেখ মুজিব সেই কালো রাত্রিতেও স্বাধীনতার কথা ভাবেননি। তিনি ২৭ তারিখে হরতালের কথা বলেছিলেন। (খ২)

শসস্ত্র সংগ্রামে শেখ মুজিবের তেমন কোন বিশ্বাস ছিল না। তিনি তার গুরু সোহরাওয়ার্দির মত নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করতেন।(খ৩)

শেখ মুজিব গ্রেফতার হওয়ার পর এআ ব্যাপারে ইন্দিরা গান্ধী প্রশ্ন তোলেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সফলতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন। তিনি এই ব্যাপারে প্রশ্ন করেন আপনাদের যুদ্ধের মুল কৌশলটা আমাকে বুঝিয়ে বলুন।আপনাদের সেনাপতি নিজে ধরা দিয়ে আপনাদের যুদ্ধ চালীয়ে যেতে বলছেন এটা আবার কি ধরনের কৌশল? জবাবে তখনকার নেতারা বলেছিল যে তিনি গৃহ ত্যাগ করেছে এবং সহসাই আমাদের সাথে মিলিত হবেন। তখন ইন্দিরা বলেছিল আপনারা ভুল বলচেন শেখ মুজিব স্বেচ্ছায় ধরা দিয়েছেন। এই কথা শুনে খন্দকার মোশতাক এবং তাজউদ্দিন নিরুত্তর হয়ে যান। (গ১)





ক২. রেহমান সেবহানের সাক্ষাতকার: বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : ২য় খনড পৃ: ৩৯০
খ১: ডা: কামাল হোসেনের সাক্ষাতকার: বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র: ১৫শ খনড পৃ: ২৭৮
খ২: বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : ২য় খনড পৃ: ৭৮৬
খ৩: ঢাকা আগরতলা মুজিব নগর, এম মোহাইমেন, পৃ: ৬৭
গ১: ঢাকা আগরতলা মুজিব নগর, এম মোহাইমেন, পৃ: ৬৪

No comments:

Post a Comment